[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চাচির সঙ্গে ভাতিজার পরকীয়ার জেরে ২ বছরের
শিশু মাহিমাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন বলেন, থানায় হত্যা ও নারী নির্যাতনের ধারায় মামলা হয়েছে। এ
ঘটনায় মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ শিশুটির মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে। নিহত মাহিমা হাড়িডাঙ্গা গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী মাহমুদ থান্দারের মেয়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে মাহিমার মা তাসলিমা বেগমকে (৩০) তার চাচি শাশুড়ি রোজিনা বেগমসহ (৩৫) তাদের লোকজন বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে রোজিনা বেগম ও তার ছেলে মিথাল থান্দারসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা শিশুকন্যা মাহিমাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তাসলিমা বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।মাহিমার মা তাসলিমা বেগমের অভিযোগ, তার স্বামী মাহমুদ থান্দার প্রায় ১৪ বছর ধরে বিদেশে আছেন। দেশে আসা–যাওয়ার সূত্র ধরে চাচি রোজিনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ফলে বিদেশ থেকে চাচির (রোজিনা) নামেই টাকা পাঠান। পরকীয়ার কারণে তাসলিমাকে সহ্য করতে পারেন না স্বামী মাহমুদ থান্দার ও চাচি শাশুড়ি রোজিনা। প্রায়ই তাসলিমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রোজিনা বেগম। এরই জের ধরে রোববারও তাসলিমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হন রোজিনা বেগম। মাহিমাকে কেড়ে নিয়ে ঘাড় মটকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন তিনি।এ ব্যাপারে জানতে চাইলেকালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন জানান, গতকাল নির্যাতনের ঘটনায় নিহত শিশুটির মা লিখিত অভিযোগ করতে আসেন। অভিযোগ শুনে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠায়। পরে শিশুটির খোঁজ করা হলে সঠিক কোনো সন্ধান কেউ বলতে পারেনি।কিছুক্ষণ পরে বাড়ির পাশের পুকুরে শিশুটিকে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় যাদের নামে অভিযোগ তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তারা আত্মপক্ষ সমর্থনেও কিছু বলেনি। সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে শিশুটির মৃত্যুরসঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান ওসি।