[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনার কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে হলে খাদ্য উৎপাদন আরো অনেক বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। আমন ও রবি মৌসুমের ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ ও কম ফলনশীল জাতের আবাদ কমিয়ে উচ্চফলনশীল জাতের চাষাবাদের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ আয়োজিত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ কার্যক্রম অনলাইনে উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে আমন ধান আবাদের এরিয়া বোরোর চেয়ে বেশি হলেও উৎপাদন অনেক কম। এর কারণ হচ্ছে আমনে কম উৎপাদনশীল দেশি অনেক জাতের ধানের চাষ হয়। সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে হলে উন্নতমানের হাইব্রিড জাতের চাষাবাদ জনপ্রিয় করতে হবে ও মানসম্পন্ন পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বায়ার এর কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ এক লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে তাদের উৎপাদিত উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ধান বীজ ও সবজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করবে। বায়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ৫১টি জেলায় মোট ৩০০ মেট্রিক টন ধান বীজ জুনের মধ্যে ৫০ হাজার কৃষকের মাঝে ও নভেম্বরের মধ্যে ৫০ হাজার কৃষকের মাঝে বিতরণ করবে। বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেড জার্মানির বায়ার গ্রুপ ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (BCIC) এর যৌথ উদ্যোগ। বাংলাদেশের কৃষিখাতে সংস্থাটি ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে উন্নতমানের বালাইনাশক ও হাইব্রিড বীজ সরবরাহ করে আসছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান, জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোলজ, বায়ার সাউথ এশিয়ার সিনিয়র প্রতিনিধি ডি. নারাইন এবং বায়ার -এর ক্রপসায়েন্স ডিভিশনের ভারত-বাংলাদেশ-শ্রীলংকার চিফ অপারেটিং অফিসার সায়মন থর্স্টেন উইবাস।
