[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা শিল্পের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চা এর উৎপাদন বেড়েই চলছে। একই সাথে বাড়ছে চাহিদা। বিদেশেও বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা রযেছে। অভ্যন্তরিণ চাহিদা মিটিয়ে চা তেমন রপ্তানি করা যাচ্ছে না। চায়ের উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানির চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। চায়ের ন্যায্যমূল নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে সরকার।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদ্যাপন উপলক্ষে জুম প্ল্যাটফর্মে “বাংলাদেশের চা শিল্পঃ সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালে চায়ের সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা হবে ১২৯ মিলিয়ন কেজি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ১১ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা সম্ভব হবে। চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য হবে বলে আশা করা যায়। দেশের চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২০ সালে ২২টি দেশে মোট ২.১৭ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করেছে, যা ২০১৯ সালের রপ্তানির তুলনায় প্রায় ২৬০% বেশি। দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে আশাব্যাঞ্জক সারা পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দিন দিন চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা চালালে চা শিল্পের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা সম্বব।
ড. মঈদউদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশিয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ এর সভাপতি শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, পঞ্চগড় টি গ্রোয়ার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হকসহ চা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ।
