[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
করোনা পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বনে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে উপার্জনহীন অসচ্ছল পরিবারের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চট্টগ্রাম সিটি মেয়র পদপ্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল ২৯ মার্চ রবিবার সকালে ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের হাজ্বী আব্দুল মোনাফ সওদাগরের বাড়ী ও ৩৫ নং বক্সিরহাট ওয়ার্ডের ভাড়াটিয়াদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কালে নিজ উদ্যোগে ছাপানো করোনা প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কিত নির্দেশনা পত্রও বিতরন করেন তিনি। তিনি বলেন, দেশে দুর্যোগ, দুর্বিপাক, যুদ্ধাবস্থা ও মহামারীতে সকলকে অত্যন্ত ধর্য্য সহকারে সরকারি নির্দেশনা অনুসরন করে চলতে হয়। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জানমাল রক্ষায় আমাদের উচিৎ সরকারী নির্দেশনা যথাযথ ভাবে অনুসরন করা।
এ সময় সবচেয়ে দুরাবস্থার সম্মুখীন হতে হয় সমাজের নিম্ম আয়ের মানুষগুলো। তারা দিনে আনে দিনে খায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনবান্ধব সরকার ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে অঙ্গীকার করেছেন। সমাজের বিত্তবানদেরও উচিৎ নিম্ম আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে আসা। মানবিকতার পরীক্ষা আজ আমাদের সামনে। সংকটকালে মানবিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। অনেকেই আছেন, যারা নিরবে এ ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছেন। আমি তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং অন্যদের ও আরো অধিকহারে মানবতার কল্যানে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা জানিনা, কতদিন আমাদেরকে করোনা বিরোধী যুদ্ধে থাকতে হবে। কিন্তু ধর্য্য, নিয়মানুবর্তিতা, সতর্কতা ও যার যার অবস্থান থেকে পর্যাপ্ত ভূমিকা রেখে গেলে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে অবশ্যই বিজয়ী করবেন। নগরবাসীর প্রয়োজনে আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি। যতদিন পর্যন্ত আমার নগরবাসী করোনার প্রভাবমুক্ত হচ্ছেনা, ততদিন আমার সচেতনতা ও সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সেদিন হয়তো দুরে নয়, প্রিয় চট্টগ্রাম নগরী আবারো চঞ্চল হয়ে ওঠবে, কর্মমূখর হয়ে ওঠবে। সবাই মুক্ত বাতাসে ঘুরবে, ফিরবে, হাসবে, খেলব। ততদিন আমাদের ধর্য্য ধারন করতে হবে। আমাদের সরকার ইতিমধ্যে করোনা চিকিৎসায় অনেক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মহাখালীতে একটি মার্কেটকে ৩০০০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালে রুপান্তরিত করা হচ্ছে। কুর্মিটোলার হাসপাতালের শয্য সংখ্যা বৃদ্ধিসহ পুরোটাই করোনা কোভিড ১৯ এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। সারা দেশের জেলা পর্যায়েও এ চিকিৎসা পর্যসায়ক্রমে সম্প্রসারিত করা হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কুতুব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজ্বী আব্দুল মোনাফ সওদাগর, মো: ফরিদ নেওয়াজ, সৈয়দ হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শাহিন আক্তার রোজী, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হাসানুল আজম বাবলু, সাইফুল করিম চৌধুরী, এস এম আরিফুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ, কাজী ইমতিয়াজ রুবেল, ওমর, আলম, রানা প্রমুখ।