[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপির সভা-সমাবেশ, আন্দোলন ঠেকাতেই এই বিধি-নিষেধ কি না, তা নিয়ে জনগণের প্রশ্ন রয়েছে। কারণ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে সভা-সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেছে মানুষ। এতেই আতঙ্কিত সরকার। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, যতই চক্রান্তের জাল ফেলা হোক না কেন, এই অবৈধ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে, বিধি-নিষেধ দিয়ে, চক্রান্ত করে জনগণকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের যে কর্মসূচি ইতিমধ্যে ঘোষিত হয়েছে, সেই কর্মসূচি এখনো চলমান আছে। এটা চলমান থাকবে। এখন পর্যন্ত আমার কাছে যে সংবাদ আছে, তাতে আমাদের এই সিদ্ধান্তই রয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৩০ শতাংশ। করোনা শুরু হয়েছে প্রায় দুই বছর। যদি শুরুতেই উদ্যোগ নিত সরকার তাহলে প্রায় শতভাগ করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হতো। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই ৬০ শতাংশের ওপরে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত টিকা আর করোনাসামগ্রী নিয়ে সরকার কেলেঙ্কারি ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি। তারা যদি সঠিক ব্যবস্থা নিত, যদি ৬০-৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারত, তাহলে করোনা মহামারি বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকত না।
তিনি আরো বলেন, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে দলের যেসব নেতাকর্মীর নামে হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছিল, এখন সেই মামলাগুলোতে ধারাবাহিক সাজা দেওয়া শুরু করেছে। অবৈধ পথে ক্ষমতায় থাকা এবং ভোটারবিহীনভাবে আগামী নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করতেই একের পর এক সাজা দেওয়া হচ্ছে। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে বিএনপির নির্দোষ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া রাষ্ট্রের নাৎসিবাদী চেহারা বিপজ্জনকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস জাহান শিরিন, আবদুস সালাম আজাদ, বেলাল আহমেদ, আকরামুল হাসান, কৃষক দলের ইশতিয়াক আহমেদ নাসির, যুবদলের আবদুল মুনায়েম মুন্না, কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ নেতা।