[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
পার্বতীপুরের একমাত্র সিনেমা হল উত্তরা টকিজ বন্ধ হয়ে গেল।এর ফলে আর কোনো সিনেমা হলের অস্তিত্ব রইল না পার্বতীপুরে । দীর্ঘদিন ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললেও রমজানব মাস থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় সিনেমা হলটি। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে যৌথ মালিকানার এই সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০০৪-০৫ সালের দিকে সাগর টকিজ নামের আরেকটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রজেকশনের রংপুর বিভাগের দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেন বলেন, গত রমজান মাস থেকে সিনেমা হলটি বন্ধ রয়েছে।
১৯৮৫ সালে পার্বতীপুর পৌর শহরের নতুন বাজারে যৌথ মালিকানায় নির্মাণ করা হয় উত্তরা টকিজ নামে এই সিনেমা হলটি। এক সময় সিনেমা হলটি ছবি প্রদর্শনে জৌলুস ছড়াতো শহর থেকে গ্রাম গঞ্জ পর্যন্ত। পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ ও চিরিবন্দর উপজেলা থেকেও ছবি উপভোগের জন্য দর্শক সমাগম ঘটত হলটিতে।
আত্বীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে সিনেমা হলে ছবি দেখার কদর ছিল বছর কয়েক আগেও । সাধারণ দর্শকের ভিড় ছিল। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার উৎসব ছিল কাউন্টারের সামনে । অনেকে অগ্রীম টিকিট বুক করত কাউন্টার থেকে। ঘাম ঝরিয়ে টিকিট কাটা কষ্টসাধ্য হলেও ভাল ছবি উপভোগ করে তা পুষিয়ে নিত দর্শক।
উত্তরা টকিজ ছাড়াও পার্বতীপুর ক্যান্টনমেন্টের গ্যারিসন সিনেমা ও সাগর টকিজ নামের দুইটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাই ছিল পার্বতীপুরের একমাত্র সিনেমা হল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা হলের পরিবেশ ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে সাধারণ দর্শকেরা হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা, টাকার ভাগ বাটোয়ারা,ভাল ছবির বিপরীতে অশ্লীল ছবি প্রদর্শন আপত্তিকর কর্মকাণ্ডসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। এতে দর্শক চাহিদা কমতে থাকে। ফলে হল কর্তৃপক্ষ সিনেমা হলের প্রধান ফটকে তালা মেরে বন্ধ করে দেন এর কার্যক্রম।
এদিকে সিনেমা হলটি বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে সেখানকার কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা। জনসমাগম না থাকায় সিনেমা হল রোডের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সাধারন দোকানপাটের ক্রয়-বিক্রয় তেমন ভাল চলছে না।