[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে তৎপর ছিলেন বলে এত দ্রুতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। একই সাথে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলেন এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল আমাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের ১০ দফা দাবি ছিল, এরমধ্যে ১, ৪ ও ৫ এই তিনটা দাবি ছিলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর। ইতিমধ্যে ১৬১ ও ১৬৭ ধারায় অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। জবানবন্দি দিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে রিমান্ডও মঞ্জুর হয়েছে। এজন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বিশেষভাবে তৎপর ছিলেন বলে এত দ্রুতভাবে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
তারা আরো জানায়, আমাদের বাকী দাবি দাওয়া বুয়েট প্রশাসনের কাছে। আমরা ৫টি পয়েন্ট তাদের কাছে তুলে ধরেছিলাম। ইতোমধ্যে বুয়েট প্রশাসনের তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করেছি। এরই মধ্যে জড়িতদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের কাছে নোটিশ এসেছে, তদন্তের মাধ্যমে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার রিপোর্টে যদি নতুন করে কারো নাম উঠে আসে, তাকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। ফাহাদের পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করা হবে, এই মর্মে আমাদের কাছে নোটিশ এসেছে।
ইতিমধ্যে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, হলের মধ্যে থাকা রাজনৈতিক কক্ষগুলো সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও হলে সিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি ছিলো, সেটা হচ্ছে। এবং সিটিভি ক্যামেরা মনিটরিং জন্যে প্রশাসনিক পদ তৈরি করা হোক।
আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানান, রাজপথে আমাদের অবস্থানকে দীর্ঘায়িত করে এই আন্দোলনকে আমরা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাই না। বুয়েট প্রশাসনের চলমান তদন্ত প্রক্রিয়া এবং দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে যে সদিচ্ছা ইতিমধ্যে দেখিয়েছেন, আমরা সেই সদিচ্ছার প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখে আগামীকাল মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আগামীকাল বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মিলে এক গণ-শপথে অংশ নিবো। গণ-শপথে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ক্যাম্পাস থেকে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবো।
আমরা মাঠ পর্যায়ের যে আন্দোলনে ইতি টানলেও আমরা অবশ্যই সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকবো। আমাদের যে দাবিগুলো, সেগুলো প্রশাসন কার্যকর করছে কি-না। এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা চার্জশিট দাখিলের পর সেটার ভিত্তিতে অপরাধীদের একাডেমিকভাবে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত বুয়েট সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো রকম একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবে না। আমরা খুনিদের সাথে একাডেমি কার্যক্রম শেয়ার করতে পারবো না।