[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চেতনানাশক মেশানোর রসমালাই খাইয়ে অচেতন করার পর এক কিশোরীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। মুমুরদিয়া ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে ঐ কিশোরীর বাড়ি। সে হাজেরা সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অপহরণের পর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন সন্ধান মেলেনি ঐ কিশোরীর। এ ঘটনায় মুমুরদিয়ার মজিবুর রহমানের ছেলে নাসির মিয়ার বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কিশোরীর মা ও বাবা গাজীপুরে চাকরি করেন। তাদের মেয়ে দাদি ও চাচার সঙ্গে বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। গত ১৩ জানুয়ারি বাড়ির পাশে মেলা চলছিল। পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাত ১১টায় মজিবুর রহমানের ছেলে নাসির মেলা থেকে রসমালাই কিনে চেতনানাশক মেশায়। পরে তা নিয়ে কিশোরীর দাদির ঘরে যায়। তাদের সঙ্গে গল্প করে। এক পর্যায়ে মেলা থেকে রসমালাই এনেছি বলে দাদি ও নাতনিকে খাওয়ায়। এতে দু’জন অচেতন হয়ে পড়লে গভীর রাতে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় নাসির। অজ্ঞান অবস্থায় তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন বিকালে মেয়ের চাচা ঘটনা জানতে পেরে মেয়ের বাবা-মাকে এ বিষয়ে জানান।

শৈশবে নাসিরের বাবা-মার বিচ্ছেদ ঘটে। সে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি বড় হয়। সে একাধিক বিয়ে করে এবং ঠুনকো অজুহাতে ছাড়াছাড়ি হয়। বর্তমানে এক স্ত্রী বাড়িতে আছে।
এ ঘটনায় মুমুরদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছেনু মিয়া জানান, নাসির লম্পট প্রকৃতির। কিছুদিন পরপর বিয়ে করে। কিন্তু সংসার টেকে না।
স্কুলছাত্রী ইভার পরিবার ও এলাকার লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সন্ধেহভাজন একজনকে আটক করলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ প্রভাবে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। মেয়ে হারানোয় দিশেহারা বাবা বলেন, তিনি তার মেয়েকে ফিরে পেতে চান। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কটিয়াদী থানার ওসি এমএ জলিলের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসামী ও ভিক্টিম দু’জনকেই উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, প্রেমঘটিত ব্যাপার রয়েছে এই ঘটনার মূলে। আসামী নাসিরের ঘৃণিত চরিত্র ও কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ্য করে বলেন, ‘সে (নাসির) খুবই চালাক প্রকৃতির ছেলে। এর আগেও সে দু’টি বিয়ে করেছে। আর যেহেতু সে ভিক্টিমের আত্মীয় এবং একই ঘরে থাকতো সেখানে প্রেমঘটিত ব্যাপার থাকাটাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ নিচ্ছি। অপহৃতাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে।