আজ অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০,৭:১৯ পূর্বাহ্ণ
0
49

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০ আজ বিকেলে শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৩টায় মাসব্যাপী গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করবেন। এবার আয়োজিত হচ্ছে গ্রন্থমেলা সর্ববৃহৎ পরিসরে। এবার বেড়েছে প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যাও।

প্রধানমন্ত্রী মেলা পরিদর্শন  করবেন বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতিসচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্বাগত বক্তব্য দেবেন। একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা গ্রন্থমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ। এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইটি প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গতকাল শনিবার সকালে গ্রন্থমেলার সর্বশেষ প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। গ্রন্থমেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টল ও প্যাভিনিয়নের নির্মাণকাজ শেষ। মেলার বিন্যাসে নান্দনিকতার ছাপ। বৃহৎ পরিসর হওয়ায় বইপ্রেমীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে মেলায় ঘুরতে এবং বই কিনতে পারবেন।

এবার প্রায় আট লাখ বর্গফুট জায়গায় একুশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি এ পর্যন্ত আয়োজিত মেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ পরিসর। একাডেমি প্রাঙ্গণে প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি ইউনিটসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে। ১৫২টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ এবং ছয়টি উন্মুক্ত স্টল দেওয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বাংলা একাডেমির দুটি প্যাভিলিয়ন, চার ইউনিটের দুটি, একাডেমির শিশু-কিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য একটি এবং একাডেমির সাহিত্য মাসিক ‘উত্তরাধিকার’-এর একটি স্টল থাকবে। এবারও শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। এই কর্নারকে শিশু-কিশোরদের বিনোদন ও শিক্ষামূলক উপকরণে সজ্জিত করা হয়েছে। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ‘শিশুপ্রহর’ থাকছে।

ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে আজ বিকেল ৫টায় সর্বসাধারণের জন্য মেলার দ্বার খুলবে। ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকছে। বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্রন্থমেলার প্রচার কার্যক্রমের জন্য তথ্যকেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া মেলায় আসা মানুষের বসার স্থান তৈরি করা হয়েছে। নানা আয়োজন থাকছে ফুড কোর্টসহ বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের জন্য। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ছয়টি পথ থাকবে। লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে বিশেষ দিনগুলোতে।

গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তাকর্মীরা। তিন শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলার এলাকাজুড়ে। গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত। মেলা প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে থাকছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে