[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ভরপূর্নি গ্রামে মাহফুজা বেগম (২৫) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী। পরে ঘাতক মকসুদ আলীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের। সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বুল্লা ইউনিয়নের ভরপূর্নি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মাহফুজা একই উপজেলার গোয়াকারা গ্রামের ফীর ইসলামের মেয়ে ও ঘাতক মকসুদ ভরপূর্নি গ্রামের খেলু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে ঘুমের মাঝে মাহফুজাকে গলা কেটে হত্যার পর বসতঘরের দরজা বন্ধ করে রাখে মকসুদ। হত্যার পর সে ছুরি ধুয়ে নিজে গোসল করে লাশের পাশেই বসে থাকে। এ সময় আশপাশের লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এসে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু পুলিশ আসার পূর্বে দরজা খুলতে রাজি হয়নি ঘাতক। খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অজয় চন্দ্র দেব ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার এবং মকসুদকে গ্রেপ্তার করেন।
বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মুক্তার হোসেন বেনু জানান, সম্প্রতি দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হলে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে মাহফুজা। এরপর পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিল। প্রায় ৬ মাস পূর্বে এলাকার লোকজনের মধ্যস্থতায় বিরোধ নিষ্পত্তি হলে স্বামী মকসুদের বাড়িতে আসে সে। মকসুদ আলীর মাথায় সমস্যা আছে বলে জানা গেছে। স্ত্রীর আচরণ সহ্য করতে না পেরে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অজয় চন্দ্র দেব জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার এবং মকসুদকে আটক করে। নিহতের গলা অর্ধেকটা কাটা এবং শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
