[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয় শনিবার ভোরে। এর ফলে আগুন ধরে যায় সেখানে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারে ওই ড্রোন হামলার জের ধরে। এই প্রেক্ষিতে মার্কিন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, দেশটি বিশ্ববাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য নিজের ‘কৌশলগত জ্বালানী ভাণ্ডার’ ব্যবহার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা কেলিয়ান কোনওয়ে। কেলিয়ান কোনওয়ে বলেন, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার পর বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার প্রয়োজনে নিজের ‘কৌশলগত জ্বালানী ভাণ্ডার’ ব্যবহার করতে প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন জ্বালানী মন্ত্রণালয়।
গত প্রায় পাঁচ বছরের সৌদি আগ্রাসনের জবাবে গত শনিবার সকালে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ও গণ কমিটি দেশটির দুটি তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তাদের ঘোষণায় বলা হয়, সৌদি আরবের জাতীয় তেল কোম্পানি আরামকো পরিচালিত ‘বাকিক’ ও ‘খারিস’ তেল শোধনাগারে এ হামলা চালানো হয়েছে ১০টি পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোনের সাহায্যে।
ওই হামলায় তেল স্থাপনা দু’টির মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং সৌদি তেলমন্ত্রী একথার সত্যতা স্বীকার করেন যে, সৌদি আরবের তেল উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছে ওই হামলার কারণে। বিশ্বের অন্যতম বড় তেল রপ্তানিকারক দেশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের ঘাটতি এবং এর জের ধরে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।