[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সৈয়দ আমিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও নারায়ণগঞ্জবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
পলিটব্যুরো একই সাথে পর পর তিনবার নির্বাচিত হওয়ায় এবং নির্বাচনী প্রচারসহ সামগ্রিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের ওপর নির্ভর করায় অতীতের মতই দৃঢ় ভূমিকা রাখার জন্য মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচার ও নির্বাচনোত্তরকালে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সকল প্রার্থী যে আচরণ করেছে তাও বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে।
বিবৃতিতে বলা হয় পেশী শক্তি, অর্থ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ মুক্ত যে নির্বাচনের জন্য ১৪ দল অতীতে লড়াই করেছে এই নির্বাচনে তার প্রতিফলন ঘটেছে। এটা অব্যাহত থাকলে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা দূর হবে। ওয়ার্কার্স পার্টি আশা প্রকাশ করে যে, এই নির্বাচন ব্যতিক্রম হবে না বরং সারাদেশে এবং সব নির্বাচনই এভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, একই দিনে টাঙ্গাইল উপনির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। আর ইউপি নির্বাচনসমূহের অভিজ্ঞতা দু:স্বপ্নের মত। দুভার্গ্যজনকভাবে সত্য যে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন এসবকেই সুষ্ঠু নির্বাচন বলে দাবী করে এসেছে। পর্যাপ্ত আইন থাকা সত্বেও নির্বাচন কমিশন তা প্রয়োগ করে নাই। এ কারণেই রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে ওয়ার্কার্স পার্টি আইন প্রণয়নসহ তার ভিত্তিতে একটি কার্য্যক্ষম নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টি এই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত আইন মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে সংসদের এই অধিবেশনেই এই আইন উত্থাপন ও পাশ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে ওয়ার্কার্স পার্টি সংসদ সদস্যরা সহযোগিতা করবে।
একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনেও ইভিএম সম্পর্কে যে অভিযোগ উঠেছে তা দূর করতে বিশেষজ্ঞসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।