[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদেরকে বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। সারের দাম কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবন করেছে, যেগুলো চাষের ফলে গড় ফলনও বেড়েছে। সারা দেশে আউশের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী গতকাল মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আয়োজিত মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার কালাচাঁদপুর গ্রামে আউশ ধান কর্তন অনলাইনে উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। এতে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় শাকসবজির অনেক দাম। এদেশের কৃষিপণ্যকে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশের বাজারে রপ্তানি করতে পারলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সেজন্য, পূর্বাচলে একটি এগ্রো প্রসেসিং সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি করা যায়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ অঞ্চল। দেশের কৃষিতে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে দেশের কৃষিখাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে স্ংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় গত ১০ বছরে আউশ আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১০-১১ সালে আউশ আবাদ হয়েছিল ১০ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে, চলতি বছরে আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। আর গতবছরের তুলনায় এবছর ৩০ ভাগ বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় এ বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭০ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন অর্জিত হবে আশা করছে মেহেরপুর কৃষি বিভাগ।
মেহেরপুরে এবছর আউশের, মাসকলাই ও পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি জন্য ৮ হাজার ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে ৩৮ লাখ টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, সেচের পানির কম ব্যবহারের ফলে উৎপাদন খরচ কম হওয়া এবং কৃষি বিভাগের নিরলস উৎসাহ-সহযোগিতার ফলে কৃষকেরা আউশ আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমনে এ বছরের আবাদ
লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮৭ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন
নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমনে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধান
চাষ ও লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম চলছে। এছাড়া, বাজার দর ভালো হওয়ায় মেহেরপুর জেলায় ক্রমাগত ভূট্টা চাষ বাড়ছে।
গত ১০ বছরে আবাদ বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
২০১৯-২০ বছরে ১৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে, উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৮২
হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।