[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রমজান সরকার, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বর্ধিত ক্যাম্পাসের জন্য কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের রাজারখলা-চৌধুরীখলা এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব এলাকার বেশিরভাগই কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের গাছের বাগান ও বাঁশঝাড়ে ঘেরা এলাকা ৷ জমি অধিগ্রহণের দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাবে অধিগ্রহণের আওতায় থাকা এসব জায়গায় রাত হলেই শুরু হয় গাছ ও বাঁশ চুরির উৎসব।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময় নোটিশ ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা থেকে গাছ-বাঁশ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়৷ কিন্তু রাতের অন্ধকারে এসব জায়গা থেকেই কেটে নেওয়া হচ্ছে গাছ-বাঁশ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জায়গার মালিক যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বিক্রি করছেন তারা বলেন, গাছ-বাঁশ কাটতে যারা আসে তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাছাত্রলীগের নেতাদের পরিচয় দেয়৷ এক জমির মালিক বলেন, ‘দেড় বছর হচ্ছে আমার জমি অধিগ্রহণে পড়েছে। কিন্তু এখনো টাকা পাইনি। আবার আমরা জমির কোনো গাছ-বাঁশ আনতে পারি না। কিন্তু নেতাদের নাম দিয়ে ঠিকই কেটে নিয়ে যায়। এখানে জোর যার মুল্লুক তার।’
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়, তাঁর ভাই সরওয়ার সাহেব এবং আমার নাম ব্যবহার করে কিছু স্বার্থান্বেষী প্রতারক চক্র এসব কাজ করছে। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে জানাবো।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মোঃ জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ পাই নাই৷ অভিযোগ পেলেই প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ব্যবস্থা নিবো৷ তবে অল্প বিস্তর কিছু অভিযোগ পেয়েছি, যার সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘গাছ কেটে নিচ্ছে এটা আমরা জানি। কিন্তু এখানে আমাদের কিছু করতে পারবো না। কারণ, ডিসি অফিস জমি অধিগ্রহণ করে আমাদেরকে না দেওয়া পর্যন্ত এ জমির মালিক আমরা না৷ এছাড়া জনবল কম থাকায় পাহারাও বসাতে পারছি না৷ আমরা ডিসি অফিসকে জানাই রাখছি। ডিসি অফিসও কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না৷’