[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বান্দরবানের কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়া এলাকার সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলার সাথে বিছিন্ন হয়ে গেছে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ।
বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু দাশ জানান, এখন হাঁটুপানি বাজালিয়া এলাকার সড়কে। তাই ওই সড়কে বন্ধ রাখা হয়েছে বাস চলাচল । এদিকে বান্দরবানের চিম্বুক সড়কের ৯ মাইল এলাকায় পাহাড় ধসের কারণে রুমা ও থানচি উপজেলার বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ । সোমবার প্রবল বর্ষণের সময় ওই এলাকায় সড়কের ওপর একটি বিশাল পাহাড় ধসে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, পাহাড়ে ভারী বর্ষণের কারণে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য জেলা-উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে এবং ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে । এছাড়া বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ২৫ জন পর্যটক আটকা পড়েছেন। থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল জানান, পাহাড়ে ভারী বর্ষণ শুরু হওয়ার আগে পর্যটকদের তিনটি দলের মোট ২৫ জন তিন্দু, রেমাক্রি, নাফাখুম হয়ে আরও দুর্গম এলাকায় বেড়াতে যান। পরে ভারী বর্ষণে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধিতে নৌকা চলাচল না করায় ওই পর্যটকরা পারেননি থানচি উপজেলা সদরে আসতে । ওসব জায়গায় কোনো ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আটকা পড়া পর্যটকদের সঙ্গে সম্ভব হয়নি যোগাযোগ করা।
