[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের জিডিপিতে কৃষির অবদান কমে এলেও কৃষির গুরুত্ব কমে নাই। কৃষির উন্নয়নই দেশের অন্যান্য উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে থাকে। এজন্য কৃষিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৈশোর-তরুণ বয়স থেকে বাংলার কৃষকের দৈন্যদশা স্বচক্ষে দেখেছেন, যা বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে গভীরভাবে রেখাপাত করে। বাংলার দুঃখী মানুষ-কৃষক শ্রমিকের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা ছিল অকৃত্রিম।
কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বঙ্গবন্ধু। এছাড়া ১৯৭০ সালে নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কৃষির প্রতি যে অবহেলা করা হয়েছিলো এটা অমার্জনীয়। কৃষি উন্নয়নের জন্য আমাদের বিপ্লব করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সনের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমাদের চাষী হলো সবচেয়ে দুঃখী ও নির্যাতিত এবং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পিছনে নিয়োজিত করতে হবে”।
সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “এই পৃথিবীতে অনেক নেতা আসবে, অনেক নেতা এসেছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো মানবদরদী মহান নেতা আসবেন না। সমুদ্রের গভীরতা মাপা যাবে, আপনারা আটলান্টিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা মাপতে পারবেন, কিন্তু বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার গভীরতা আপনারা মাপতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলার মানুষ ও মাটির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন।” বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা, সফলা, শস্য-শ্যামল বাংলায় রূপান্তরিত করব।” তিনি আরো বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই ভিত্তি বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেছিলেন। কৃষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে দরদ ছিল তা চিন্তা করা যায় না।
এই ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচক হিসাবে অংশগ্রহণ করেন ইতিহাসবিদ ও লেখক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, সাবেক সচিব মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার প্রমুখ।