নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল

বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০,৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ
0
52

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল বাতিল করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন। এই দাবি জানান তিনি আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশান-১ এ ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত দুই মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং তাবিথ আওয়াল বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতের কোনো প্রতিফল ঘটেনি। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেই কারণে অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। একইসঙ্গে আজকে অত্যন্ত ন্যায়সংগতভাবে প্রশ্ন উঠেছে, এই নির্বাচনে মাত্র ৪ থেকে ৭ ভাগের বেশি ভোট পড়েনি। যা তারা দেখাচ্ছে ২০-২৪ ভাগ। এত কম ভোটে যারা জয়ী হয়েছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসলে আইনগত তারা দায়িত্ব পালন করতে, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ কারণে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে অবিলম্বে নতুন একটি নির্বাচন দিতে হবে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি, কেন্দ্র দখলসহ ভোটের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এ কারণে একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা, যা আগে ছিল ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ সেই ব্যবস্থার অধীনে দেশে নির্বাচন হতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ছাড়া দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধা হবে না। সেই কারণেই দেশনেত্রীকে মুক্ত করে দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে হবে।

মির্জ ফখরুল আরো বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিবাচনী ব্যবস্থাকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংস করেছে। ১৯৭৫ সালে তারা সংবিধান পরিবর্তন করে সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেও তারা সফল হতে পারেনি, এবারো পারবে না। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ভাইস-চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপদেষ্টা, সম্পাদকবৃন্দ, নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা। আরো ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এবং ২০ দলীয় জোটের নেতারা। 

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে