[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিজের গর্ভের দেড় বছর শিশু পুত্রকে চার তলা বাড়ির ছাদ থেকে নীচে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক মা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পাগলা পশ্চিম নন্দলালপুর এলাকার আমান উল্লাহ প্রধানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত মা রোকসানা আক্তারকে আটক করেছে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, দুপুরে এ ঘটনার পর ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মা রোকসানা আক্তারকে আটক করে। পরে বিষয়টি চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। নিহত শিশুটির নাম আশফাক জামান জাহিন।
শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান মারুফ জানান, পারিবারিকভাবে একই এলাকার রোকসানা আক্তারের সাথে তার বিয়ে হয় গত চার থেকে পাঁচ বছর আগে। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার স্ত্রী রোকসানা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। বিভিন্নভাবে চিকিৎসা করেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এভাবেই তাদের দাম্পত্য জীবন চলছিল।
নুরুজ্জামান মারুফ আরও জানান, সোমবার দুপুরে তার বড় মেয়ে অর্পার মোবাইল ফোন পেয়ে শহরের চাষাড়ায় পপুলার হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী রোকসানা তাদের দেড় বছরের শিশু পুত্র জাহিনকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছেন। পপুলার হাসপাতালে নেয়ার পর সেখান থেকে জাহিনকে নিথর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফতুল্লার পাগলা পশ্চিম নন্দলালপুর আমান উল্লাহ প্রধানের বাড়িতে খন্দকার নুরুজ্জামান মারুফ তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার ও দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। তাদের মধ্যে রোকসানা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সন্ধ্যার সময় চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে শিশু জাহিনকে তার মা রোকসানা আক্তার (২৮) ফেলে দেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির বাবার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে শিশুটির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত রোকসানাকে গ্রেফতার করেছে।
আসলাম হোসেন আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত শিশু জাহিনের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মোতাবেক মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
