[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
তৃতীয়বারের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যপাল তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন।
এর আগে শপথবাক্য পড়ানোর মূল মঞ্চে এসে পৌঁছান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাকে স্বাগত জানান সেখানে উপস্থিত অতিথিরা।
শপথ নেওয়ার আগে মমতাকে দেখা যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক অতিথির সঙ্গে কথা বলতে।
জানা গেছে, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে কালীঘাটের বাড়ি থেকে বের হন মমতা ব্যানার্জি। সেখান থেকে রাজভবনে যান তিনি। মমতার সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি।
আগে থেকেই জানা যাচ্ছিল, সেখানকার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এবার শপথগ্রহণ সমারোহে কোনো বৃহৎ আয়োজন থাকছে না ২০১১ ও ২০১৬ সালের মতো।
মমতার প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। রাজভবনের ময়দানে বিরাট মঞ্চ তৈরি করে বৃহৎ জনসমাগমের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান হয়েছিল।
দ্বিতীয়বার মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল রেড রোডে। সেবার ভারতের বিজেপিবিরোধী সব নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে এবার সব পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।
তবে ২০১১ সালের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক না হয়েও শপথ নিলেন। কারণ, নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা। যদিও, তৃণমূল সেই ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবার আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। ২০১১ সালে সরকার ক্ষমতায় এলে ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতে সাংবিধানিক নিয়মরক্ষা করেন মমতা।
২০১৬ সালে অবশ্য সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভবানীপুর থেকে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। কিন্তু, এবার নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার
