ডা. এ.এম.এম জাকেরিয়া চৌধুরীর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বুধবার, অক্টোবর ২১, ২০২০,৮:২০ পূর্বাহ্ণ
0
120

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহযোগি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ.এম.এম জাকেরিয়া চৌধুরীর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সকালে আসকার দিঘী পাড়স্থ দোস্ত কলোনী মসজিদে খতমে কোরআন, মরহুমের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত এবং গ্রামের বাড়ি রাউজানের পূর্ব ডাবুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও মসজিদে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও তবারুক বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আগামী ২৪ অক্টোবর বিকেল ৪ টায় আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরতান নগর ভবনস্থ আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে ডা. এ.এম.এম জাকেরিয়া চৌধুরী স্মরণসভা পরিষদের উদ্যোগে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। ডা. এ.এম.এম জাকেরিয়া চৌধুরী স্মরণসভা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, কো-চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সচিব এডভোকেট এম.এ নাসের ও সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন শ্যামল সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে কাজির দেউরী মোড়কে ডা. জাকেরিয়া চৌধুরী চত্বর নামে নামকরণ করে। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠাতাকালীন সময় থেকে অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ৫২এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলনে তিনি গ্রেফতার হন। ৭০ এর নির্বাচনে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রার্থী অধ্যাপক মোঃ খালেদ এর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সাবরুম হরিনায় ক্যাম্পে তৎকালীন মুজিব নগর সরকারের তথ্য সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধার ট্রেনিং ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনঃ গঠনে রাউজান তথা চট্টগ্রামের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। ৭৫’র ১৫ আগষ্টে ভয়াল দিন গুলোতে পরিবার পরিজন নিয়ে শঙ্কিত ভাবে বসবাস করতেন। এক সময় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ছিলেন। সংগঠন থেকে মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত একদিনের জন্যও দূরে ছিলেন না।

তিনি চট্টগ্রাম শহরে ও রাউজানে অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এতিমখান ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। শহরের আসকার দীঘির দক্ষিণ পাড়স্থ দোস্ত কলোনী মসজিদের তিন যুগের বেশী সময় মোতোয়াল্লী ছিলেন। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত নিঃস্ব, বঞ্চিত মানুষের সেবা করে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকা ধারন করে গেছেন। তার পুত্র সন্তান প্রজন্মকে একই আদর্শেরছায়ায় লালিত করেছেন।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে