টেকনাফে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

রবিবার, জুন ১৬, ২০১৯,৪:৩১ পূর্বাহ্ণ
0
27

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

র‍্যাবের সঙ্গে কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র‍্যাবের ভাষ্য, নিহত তিনজন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং-বাহারছড়া সড়কের পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। র‍্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহতাব এই তথ্য জানান।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার গবি সোলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৪২), একই এলাকার মো. ইউনূছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২) ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টারহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)।

র‍্যাবের ভাষ্য, র‍্যাবের দুই সদস্য এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর ও মো. সোহেল।

ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি, চারটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি) ও ২১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, গতকাল রাতে একদল ইয়াবা কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হোয়াইক্যং-বাহারছড়ার পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অভিযান যায়। এ সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা  গুলি ছুড়তে শুরু করে অস্ত্রধারীরা। পাল্টা গুলি ছোড়ে র‍্যাবও । এতে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন ইয়াবা কারবারিকে পাওয়া যায়। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন ।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শঙ্কর চন্দ্র দেবনাথ বলেন, রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়। তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এ ছাড়া র‍্যাবের আহত দুই সদস্য মো. জাহাঙ্গীর ও মো. সোহেলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে এ ঘটনায় ।

গত বছরের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে র‍্যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় নিহত হয়েছেন ১১৬ জন ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে