[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ পুরস্কার অর্জনের গৌরবের মধ্য দিয়ে গতকাল দেশে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস’।
দেশে-বিদেশে প্রশংসিত ই-মিউটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমবারের মত ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়, যা দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,এই পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন জাতিসংঘ পুরস্কার প্রাপ্তির পর আমাদের উপর দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে এ স্বীকৃতি ধরে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রগামী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে যে সব প্রতিষ্ঠান কার্যকর এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম জনপ্রশাসন গঠনে অবদান রাখে সে সব প্রতিষ্ঠানকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
গত ৫ জুন জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক ভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জাতিসংঘ পুরুস্কার অর্জনের বিষয়টি জানায়; ১৬ জুন জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ৭টি দেশের ৭টি প্রতিষ্ঠান কিংবা উদ্যোগের নাম ঘোষণা করে। প্রতিবছর এই দিনকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে ৭টি ক্যাটাগরিতে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় (যুক্তরাষ্ট্র ইএসটি সময় সকাল ৯টা) জাতিসংঘ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন করবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ‘ON THE FRONTLINES: Honouring public servants in the COVID-19 pandemic response’।
এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস ফোরাম’ ও ‘পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠান জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী-এর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় সকল ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই জটিল কর্মযজ্ঞ দেশের তৃণমূল পর্যায়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ-এর নেতৃত্বে । উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ‘ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল’ সম্প্রসারণ ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সহজলভ্য করার কারণে। ভূমিমন্ত্রী‘র নেতৃত্বে এবং ভূমিসচিব এর তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে তিন পার্বত্য জেলা ব্যতিত সারা দেশে ইমিউটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কাজে কারিগরি সহায়তা করছে আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্প। ভূমি সংস্কার বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় সহকারি কমিশনার(ভূমি)গণের মাধ্যমে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।