[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চাঁদে পা রাখার ঠিক আগ মুহুর্তে চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ৫৫ মিনিটে চাঁদে অবতরণের কথা ছিলো কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে। তবে ইসরো জানিয়েছে তথ্য বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা। ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-২ শুক্রবার রাত ১টা ৫৫ মিনিটে চাঁদের বুকে অবতরণের কথা ছিল। কোন কমতি ছিল না আয়োজনেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিহাসের সাক্ষী হতে বেঙ্গালুরুর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-ইসরো’র কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বের করে আনা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন শিক্ষার্থী।
তবে অবতরণের ঠিক আগ মুহুর্তে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-ইসরোর সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রপৃষ্ঠের ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে থাকা বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা তথ্য বিশ্লেষণ করে পুনরায় সংযোগ চালুর চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির গবেষকদের এ চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন । একই সঙ্গে আগামীতে ইসরোর সঙ্গে থাকার কথা জানান তিনি।
গেলো ২৩ জুলাইয়ে চন্দ্রযান-২ চাঁদে যাত্রা শুরু করে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে। এই যানটি এক সপ্তাহ আগেই ছাড়ার কথা ছিল। তবে সে সময় উড্ডয়ন স্থগিত হয়ে যায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানটির ওজন ২ হাজার ৩৭৯ কেজি। এতদিন সমস্ত অভিযান চাঁদের উত্তর মেরু বা গোলার্ধ এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে হলেও প্রথমবারের মতো উপগ্রহের দক্ষিণ গোলার্ধ বা মেরুতে চন্দ্রাভিযানের চেষ্টা করছে ভারত। এর আগে চীন থেকে পাঠানো এক মহাকাশ যান চাঁদের উত্তরের অংশে অবতরণ করেছিল। পরে অবতরণ করে রাশিয়ার লুনা মিশন।চন্দ্রযান-২ সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর চাঁদে পৌঁছানো দেশ হিসেবে ভারত উঠে আসবে চতুর্থ স্থানে। এর আগে চন্দ্রযান-১ নামের মহাকাশ যান ব্যবহার করে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদে অভিযানের প্রচেষ্টা চালায় ভারত। ওই মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করলেও চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেনি।