[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জামালপুরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর তার স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় রাতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই গৃহবধূকে। ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার রাতে গণধর্ষণের মামলা গ্রহণের পর শাওন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ঐ গৃহবধূ। নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে ঘরের বাইরে গেলে সানোয়ার, শাওন ও মফিজ তাকে মুখ চেপে তুলে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ধর্ষণকারীরা গৃহবধূকে বেঁধে রেখে তার স্বামী কাঠমিস্ত্রি খলিলকে খবর দেয়। খলিল স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আসার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে জঙ্গলের একটি গাছের সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় মামলা না নেওয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু থানার ওসি সালেমুজ্জামান বলেছেন, গণধর্ষণ বা হত্যার কোনো বিষয়ই তারা অবগত নন। মরদেহ উদ্ধারের পর অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে গৃহবধূকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে জামালপুর সদর থানায় গৃহবধূ বাদী হয়ে গনধর্ষণকারী ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামি শাওনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জামালপুর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান আরও বলেন, গণধর্ষণ ও স্বামীকে হত্যার কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। আমরা আত্মহত্যার মামলা নিয়েছি এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসানুল বারী শিশির জানান, ভিকটিম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর আলামতও পাওয়া গেছে। তার শরীর থেকে এখনও রক্ত ঝরছে। একাধিক রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে।