কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান

শুক্রবার, আগস্ট ৯, ২০১৯,১:৪৪ অপরাহ্ণ
0
126

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

কোরবানিকৃত পশুর রক্ত, নাড়িভূড়ি, গোবর, চামড়া ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে অপসারণ না করলে চারদিকে দূর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে। নর্দমায় এসমস্ত বর্জ্য ফেললে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে মানুষকে আক্রান্ত করে। প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বর্জ্যের চাপে ড্রেন বা নর্দমা বন্ধ হয়ে যাবার আশংকা থাকে। আবার অল্প বৃষ্টিতে নর্দমা আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। 
সচেতনতার অভাবে জবাইকৃত পশুর রক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় অংশ নর্দমাসহ যেখানে সেখানে ফেলার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই বিস্তারসহ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে। এ পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কোরবানি সময় শহর থেকে গ্রামের সর্বত্র সকলকে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে। 
সরকার নির্ধারিত স্থানে ও পরিস্কার জায়গায় পশু কোরবানি দিতে হবে। রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে। মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ মাটিচাপা দিতে হবে। বর্জ্য অপসারণ এবং মাংস বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ ব্যবহার করাই উত্তম। পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্য ও অন্যান্য উচ্ছিষ্ট যেখানে সেখানে না ফেলে ব্যাগে করে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে। 
নাড়িভূড়ি বা এ জাতীয় বর্জ্য কোনভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা ঠিক নয়। নিজের ইচ্ছেমতো যত্রতত্র কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন মিলে একইস্থানে কোরবানি দিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা হয়। জীবাণু যাতে না ছড়ায় তার জন্য কোরবানির স্থানে ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক ছড়িয়ে দিতে হবে। 
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোরবানির দিনে সকলের সুস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে।

তথ্যসুত্রঃ পিআইডি

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে