কালোটাকার মালিক-ঋণ খেলাপিরা প্রণোদনা পায়, কৃষকরা পায় না: রাশেদ খান মেনন

শনিবার, জুন ১৫, ২০১৯,১২:৫৬ অপরাহ্ণ
0
43

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

আজ ঢাকার গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে কৃষক-খেতমজুর কনভেনশনে কৃষি ও কৃষক রক্ষা, খেতমজুরদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারী কৃষি শ্রমিককে কাজের স্বীকৃতি ও মজুরি বৈষম্য দূর করা তথা কৃষক-খেতমজুরদের ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হওয়া এবং আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কনভেনশনে কৃষকদের ১২ দফা ও খেতমজুরদের ১২ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় এবং এ দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে আগামী বোরো ফসল মৌসুম পর্যন্ত আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি কমরেড বিমল বিশ^াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কনভেনশন বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়। কনভেনশনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি কমরেড নুরুল হাসান, কার্যকরী সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সহসভাপতি মনোজ সাহা, আব্দুল মজিদ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন; রবীন সরেন সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ; এম এ সবুর সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি; বদরুল আলম সভাপতি বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন; শামসুল হুদা নির্বাহী পরিচালক, এল আর ডি। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, যে কৃষক তেভাগা আন্দোলনে আওয়াজ তুলেছিলো ‘জান দেবো, তবু ধান দেবো না’ সেই কৃষক আজ ক্ষেতের ধান পুড়িয়ে দিচ্ছে দাম না পেয়ে, এর দায় সরকারকে নিতে হবে। সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে তাকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু কৃষি পণ্য ক্রয়েও ভর্তুকি দিতে হবে। পোষাক কারখানা মালিক, ঋণখেলাপী, কালো টাকার মালিকরা প্রণোদনা পায় কৃষক তার শস্য বিক্রিতে কেন প্রণোদনা পাবে না। আজ ধান উৎপাদনে বেশি খরচের পিছনে খেতমজুরদের মজুরিকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে কৃষক ও খেতমজুরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথচ খেতমজুররা দৈনিক ৭০০-৯০০ টাকা পায় মাত্র তিন মাসের কাজের সময়ে। যা দিয়ে তাদের পুরো বছরের সংসার চালানো ও খোড়াক যোগাতে হয়। অথচ উল্টো দিকে এই কামলার অভাবকে পুঁজি করে এবারের বোরো মৌসুমী সরকারি কর্তা ব্যক্তিরা বিভিন্ন সংগঠন যেভাবে জিন্স-টি শার্ট, নতুন লুঙ্গি-গামছা পরে ফটোশেসনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিলো তা রীতিমতো খেতমজুরদের উপহাস করা হয়েছে। প্রয়োজন এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সংগঠিত হবার। সেই সংগঠিত শক্তিই পারবে এই কৃষক-খেতমজুর কনভেনশনের ঘোষণাকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত করতে।
কনভেনশনে প্রধান বক্তা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, উদারনৈতিক পুঁজিবাদ অনুসরণ করে রাষ্ট্র কৃষক-খেতমজুরদের শোষণ করছে। আজ ৯৫ ভাগ মানুষের শ্রমের উৎপাদন ৫ ভাগ লুট করে খাচ্ছে। কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষ আজ শোষণের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। আর তাই কনভেনশন ঘোষণাকে আন্দোলনে রূপ দিয়ে সংগঠিত সংগ্রাম গড়ে তুলে দাবি আদায়েই একমাত্র পথ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে