[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দ্বিতীয় দিনেই তুমুল সাড়া ফেলেছে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা। গতকাল শনিবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় উপচে পড়ে ভিড়। একদিকে বই, অন্যদিকে বিদ্যাসাগরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দুই বাংলার বিশিষ্টজনদের আলোচনা- সবমিলিয়ে বইপ্রেমীরা দারুণ সময় কাটিয়েছেন।
শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন এমনিতেই কলকাতায় যেকোন স্থানীয় উৎসবেই ভিড় চোখে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের বই উৎসবের এই ভিড় কিন্তু জানান দিচ্ছে ঢাকাই সাহিত্যের প্রতি কলকাতার পাঠকদের আগ্রহ কতটা বেড়েছে।
প্রকাশকরা বলেন, ‘লোকজনের সমাগম হচ্ছে। মানুষ দেখছে। হয়তো পরে কিনবে। কিন্তু প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করার মত।’ কলকাতার পাঠকদের আগ্রহ বাড়ায় খুশি বাংলাদেশের নবীন-প্রবীণ সাহিত্যিকরা। রবীন্দ্র-সদন মোহরকুঞ্জে আয়োজিত বইমেলার দ্বিতীয় দিনে চারটি বই প্রকাশিত হয় এবং শেষ অংশে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন দুই বাংলার বিশিষ্টজনরা।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার বলেন, ‘এই ২০০ বছর পরেও বিদ্যাসাগর যে কতটা প্রাসঙ্গিক। তা নিয়ে আলোচনা হয়।’ বাংলাদেশের কথা সাহিত্যিক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সমাজের বিত্তশালীরা টাকা চেনে কিন্তু সমাজের অবহেলিত মানুষদের চেনে না। তাদের বিদ্যাসাগরের জীবন দর্শন দেখা উচিত।’
মেলা চলবে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রকাশকরা আশা করছেন আগামী কয়েক দিনেও কলকাতার পাঠকরা ভীড় জমাবেন বাংলাদেশের বইয়ের এই মেলায়।