[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজ রোববার থেকে ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণে অভয়াশ্রমগুলোতে আগামী দুই মাসের জন্য সবধরণের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এতে আগামীকাল রবিবার থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ ছয়টি অভয়াশ্রমে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। আর তা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে সরকারি এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সময় জেলেরা নদীতে নেমে মাছ ধরতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরা ক্রয়বিক্রয় এবং বিপনন নিষিদ্ধ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে শুধু চাঁদপুরেই বেকার হচ্ছে ৫০ হাজারের বেশি জেলে। তবে সরকার এই সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেবে। বিগত দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জেলেরা এই নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এদিকে, নিষিদ্ধকালীন সময় এই দুই মাস সরকারি কার্ডধারী প্রতি জেলেকে দুই দফায় ৮০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়ার কথা জানালেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী। তিনি আরো জানান, জেলেদের তালিকা মূলত জনপ্রতিনিধিরা তৈরি করেন। তাতে জেলে নেতারা হয়তো সহযোগিতা করেন। পরে সেই তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মৎস্য বিভাগের দেওয়া হয়। মো. আসাদুল বাকী জানান, জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স এবারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অভয়াশ্রম চলাকালে কোনো জেলেকেই নদীতে নামতে দেওয়া হবে না। তবে এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ জাটকা কিংবা অন্য মাছ শিকারে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় নদীতে দিনরাত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মৎস্যবিভাগের কর্মকর্তা, নৌ ও জেলা পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সদস্যারা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবেন।
দেশের এই শীর্ষ মৎস্যবিজ্ঞানী ও ইলিশ গবেষক বলেন, নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ও জাটকা সংরক্ষণে ২ মাস এবং সাগরে ৬৫ দিনের অবরোধের কারণেই মূলত এখন সারা বছর জুড়ে নানা আকারের ইলিশ মিলছে। এতে গতবছরের উৎপাদিত ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন ইলিশের চেয়ে এবার শতকরা নতুন করে ২০-২৫ হারে বুদ্ধি পাবে। এই ক্ষেত্রে জেলেদের সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।