২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার, জুন ৪, ২০২৪,৪:৫৫ অপরাহ্ণ
0
19

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে যে অঙ্গীকার করেছেন, তা পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া ইয়োহেই এর সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে জানান, কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বড় রকমের সফলতা অর্জন করেছে। ১৯৯১ সালে প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে কুষ্ঠ বিস্তারের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬ যা সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বর্তমানে শূণ্য দশমিক ১৮ তে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিরো কুষ্ঠ অর্জনে ইতোমধ্যে বিশদ কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এজন্য শীঘ্রই কুষ্ঠ সনাক্তকরণ, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, কুষ্ঠ রোগীদের পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। এছাড়া, ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় কুষ্ঠ নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বাংলাদেশে কুষ্ঠ নির্মূলে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়া, বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটা হাসপাতাল নির্মাণে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কুষ্ঠ রোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে সেটাও অবহিত করেন।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির ও লাইন ডিরেক্টর ডা. মোঃ মাহফুজুর রহমান সরকারসহ নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে