২০২১ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ও বিরল ব্লাড মুন

মঙ্গলবার, মে ২৫, ২০২১,১২:৪৬ অপরাহ্ণ
0
191

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

আজহারুল ইসলাম জনি (নিজস্ব প্রতিবেদক): বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ও বিরল ‘ব্লাড মুন’ নিয়ে মানুষের কৌতূহল বাড়ছেই। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার (২৬ মে) দেখা যাবে  চন্দ্রগ্রহণ। তখন পৃ‌থিবী, চাঁদ আর সূর্য এক রেখায় এসে দাঁড়াবে। পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ হারাবে তার ধবল জোছনা। চাঁদের আংশিক গ্রহণ ঘটবে সেদিন।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) বলছে, ২০২১ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ মোট ৩ ঘণ্টা স্থায়ী হবে। এর মাঝেই আংশিক ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ চলবে। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ১৪ থেকে ১৫ মিনিট। এমন অবস্থায় ভারত ও বাংলাদেশে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে কি-না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। তবে বাংলাদেশ থেকে আং‌শিক গ্রহণ দেখা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী বুধবার ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটের দিকে ঘটবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
গ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ৫১মিনিট ৫৮ সেকেন্ডে। গ্রহণ মোক্ষ হবে রাত ২ টা ৫২ মিনিটের দিকে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বাংলাদেশের আকাশে চন্দ্রগ্রহণের দিন মেঘ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রহণের সময় যেসব অঞ্চলের আকাশে মেঘ থাকবে, সেখান থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না।

প্রতি পূর্ণিমাতেই চাঁদ পৃথিবীকে মাঝখানে রেখে সূর্যের বিপরীতে অবস্থান করে। কিন্তু প্রতি পূর্ণিমাতেই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে না।
কারণ, চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে হলে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীকে অবশ্যই একই সরলরেখায় ও একই সমতলে থাকতে হবে।
চাঁদের কক্ষতল পৃথিবীর কক্ষতলের সঙ্গে গড়ে ৫ ডিগ্রী ৯ মিনিট কোনে থাকে। ফলে প্রতি পূর্ণিমাতেই চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সমতলে থাকলেও একই সরলরেখায় আসতে পারে না।
চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে হলে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীকে অবশ্যই একই সরলরেখায় ও একই সমতলে থাকতে হবে।

এদিকে ২০২১ সালে প্রথমবার ব্লাড মুন দেখা যাবে ২৬ ও ২৭ মে। এটিই এবছরের প্রথম ও শেষ ব্লাড মুন। এরপর ২০২২ সালের (১৫ ও ১৬ মে) আরও একটি ব্লাড মুন দেখা যাবে। জানা গেছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, আন্টার্টিকা থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।

অন্যদিকে বলা হচ্ছে,হিউস্টন, হনুলুলু, লস অ্যাঞ্জেলাস, ম্যানিলা, মেলবোর্ন, স্যান ফ্রান্সিসকো, সিওল, সাংহাই টোকিও থেকে ব্লাড মুনের বিরল দৃশ্য দেখা যাবে। আংশিক ব্লাডমুন দেখা যাবে, ব্যাংকক, শিকাগো, মন্ট্রিল, নিউ ইয়র্ক, টরেন্টো থেকে। তবে বাংলাদেশ থেকে ব্লাড মুনের দেখা মিলবে কিনা তা অনিশ্চিত।

 ব্লাড মুন কি?
 ব্লাড মুন : চাঁদ ও সূর্যের সঙ্গে এক সরলরেখায় পৃথিবী চলে এলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে আটকে গিয়ে আর চাঁদে পৌঁছাতে পারে না। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রতিসৃত আলো চাঁদের অন্ধকার জায়গাতে গিয়ে পড়ার জন্য এই লাল আভা দেখা যাবে। নীল ও বেগুনি রঙের থেকে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি ছড়িয়ে পড়ে বলেই চাঁদকে লাল দেখা যায়। আর এই মহাজাগতিক ঘটনাকেই বলা হয় “ব্লাড মুন”।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে