[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
২০২০ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন করেছে সরকার। কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে এর সাথে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে- জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস, যেমন- ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে হবে। সংবাদমাধ্যমকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী বছর মুজিববর্ষ পালন ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষাপঞ্জি যথাযথভাবে অনুসরণ এবং দিবসগুলো গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে- পরীক্ষার সময়সূচিতে ১৩ জুন থেকে ২৫ জুনের মধ্যে অর্ধ-বার্ষিক/প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা, ৩ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা এবং ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে। মোট ১২ দিনের মধ্যে এসব পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল যথাক্রমে ১১ জুলাই, ৫ নভেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর। পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদযাপন করতে হবে প্রথম কর্মদিবস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্লেখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না। সব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।
ছুটির সময় ভর্তি বা অন্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ইত্যাদি পরীক্ষার প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। জেএসসি/এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়া অন্য বিদ্যালয়গুলোতে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।
প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠ বিবরণী নামে ডায়েরি ছাপাতে হবে ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা বিলি করতে হবে। এ ডায়েরি ছাত্র/ছাত্রী পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, ছাত্র/ছাত্রীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষার জরুরি নির্দেশনাবলী, ছুটির তালিকা ও ক্লাস রুটিন (এতে প্রতিদিন অভিভাবকের সই নিতে হবে) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রতিটি বিদ্যালয়ের সরকার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন ও শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে হবে।