১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি ও ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১,১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
0
21

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমান এবং ২ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা। গতকাল সোমবার স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড তাদের ওয়েবসাইটে দুই পরীক্ষারই সূচি প্রকাশ করেছে। করোনাকালে এ দুই পরীক্ষার সূচি প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে।

এসএসসি পরীক্ষা আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৩ নভেম্বর এবং দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে ২১ নভেম্বর। ২ ডিসেম্বর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর। এ বছরের প্রতিটি পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা। সকালের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকেলের পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এবার এসএসসিতে পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে প্রায় ২৩ লাখ এবং এইচএসসিতে প্রায় ১৫ লাখ।

পরীক্ষাসংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশাবলিতে বলা হয়েছে, করোনা অতিমারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা। এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন) ও রচনামূলক পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না। আগে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫টি এমসিকিউর জন্য সময় বরাদ্দ থাকবে ১৫ মিনিট।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘শুধু ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এতে একটি কেন্দ্রে সক্ষমতার তিন ভাগের একভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এ জন্য প্রতিটি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী সহজেই বসানো যাবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হবে। আমরা এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছি।’

এবার এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রেই গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। অর্থাৎ এইচএসসিতে যদি কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত থাকে, তাহলে তাকে এই তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। এসএসসিতে একটি করে পত্র থাকায় শিক্ষার্থীদের মাত্র তিনটি পরীক্ষা দিতে হবে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। রচনামূলক অংশে নম্বর থাকবে ৩৫ এবং এমসিকিউতে থাকবে ১৫। প্রশ্নপত্র এখন যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। তবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ থাকবে। যেমন—আগে যেখানে ১০টি প্রশ্নের মধ্য থেকে অটটির উত্তর দিতে হতো, সেখানে এখন সেই ১০টি প্রশ্নই থাকবে। তবে এর মধ্যে চারটির উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বেছে নেওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে। আর প্রতি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে ৫০ নম্বরকে ১০০-তে রূপান্তর করে পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে।

এবার আবশ্যিক বিষয় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত, আইসিটি ও ধর্ম এবং চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। এসব বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেওয়া হবে। এসএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি, এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি এবং এসএসসির ফল মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসিতে (ভোকেশনাল) জেএসসি ও নবম শ্রেণি এবং এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) এসএসসি ও একাদশের ফল মূল্যায়ন করা হবে।

জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। এমনকি গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি। এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং এইচএসসি পরীক্ষা ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা নেওয়া সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সংক্ষিপ্তভাবে তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশেষে সেই পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করল শিক্ষা বোর্ডগুলো।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে