[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
গতকাল বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে সৃষ্টিশীল এই লেখকের নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে কবর জিয়ারত করেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের প্রকাশক, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় লেখকের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রতি বছরের মতো না হলেও এবার সীমিত আকারে পরিবার ও ভক্তরা দিনটিতে লেখককে স্মরণ করেন। হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান নেত্রকোনায় সীমিত আকারে স্মরণসভা ও দেয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
লেখকের সবচেয়ে প্রিয় স্থান গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচু তলায় প্রতিবার এই দিনে হুমায়ূনকে স্মরণ করতে তার পরিবার, ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা।
এবার করোনা ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতা থাকায় ভক্তরা নুহাশপল্লীতে না এলেও কিছু সংখ্যক অনুরাগী উপস্থিত হন। তারা লেখকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।
কবর জিয়ারত শেষ মেহের আফরোজ শাওন হুমায়‚নের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্বক্ত করেন। তবে পারিবারিক সিদ্ধাহীনতার কারণে ক্যান্সার হাসপাতাল ও জাদুঘর নির্মাণ শুরু করতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদ। মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ২০১২ সালে ১৯ জুলাই ইন্তেকাল করেন।