[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সারা দেশেই সড়ক, রেল, নৌ ও বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধনকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
ঈদ যাত্রা সামনে রেখে দেশের অন্যতম প্রধান দুই মহাসড়কে দুটি সেতু, দুটি ফ্লাইওভার ও চারটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হলো দেশের দীর্ঘতম রেলপথে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এগুলোর উদ্বোধন করেন আজ শনিবার। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় গোমতী সেতু ও দ্বিতীয় মেঘনা সেতু, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা ও কোনাবাড়ীর ফ্লাইওভার এবং বিভিন্ন পয়েন্টে চারটি আন্ডারপাস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসী আমাদের ওপর আস্থা রেখে ভোট দিয়েছে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সারাদেশে উন্নয়নের মাধ্যমে তা রক্ষা করছি। সারাদেশে ব্রিজ, কালভার্ট, ওভারপাস, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, যেখানে যা কিছু প্রয়োজন আমরা সব করে দিচ্ছি। এ দেশের মানুষ যেন যাতায়াতে কষ্ট না পায় সে জন্যই আমরা উন্নয়ন করছি যোগাযোগ ব্যবস্থার ।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ।
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার। তার আদর্শকে ধারণ করে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখছি। বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমরা সড়ক পথের যে উন্নয়ন করেছি তাতে আগামী ঈদে কাউকে কষ্ট ভোগ করতে হবে না। নিবিঘ্নে মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। আমরা সারাদেশে সড়ক যোগাযোগের যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি তা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকায় মেট্রোরেল ফ্লাইওভারসহ নানা উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় ঢাকাবাসীকে এখন একটু কষ্ট পেতে হচ্ছে। একটু কষ্ট সহ্য করলে ভবিষ্যতে যাতায়াত আরও আরামদায়ক হবে।’
রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে যাত্রী সাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু গাড়িচালককে দোষ দেবেন না। ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন। গাড়িচালক ও পথচারী কেউই যদি ট্রাফিক আইন না মানে তাহলে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে আমাদের ছেলেমেয়েদের ধারণা দিতে হবে।’ স্কুলের সামনে যে সব জেব্রা ক্রসিং থাকে সেগুলো সম্পর্কে ধারণা নেয়ার জন্য তিনি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স কুমিল্লা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার এ সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে হাত দিয়েছে‘ আপনাদের চলাচল সহজ করার জন্যই ।’