স্বাস্থ্যবিধি ও আইএলও প্রদত্ত গাইডলাইন অনুযায়ী কারখানা পরিচালনা করুণ

সোমবার, এপ্রিল ২৭, ২০২০,৯:০৯ পূর্বাহ্ণ
0
27

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে, ২৫ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ’এফবিসিসিআই’ কর্তৃক চলমান সরকারী ছুটিতে কারখানা চালু করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গার্মেন্ট মালিকদের সমিতি তাদের কারখানা খোলার ঘোষণা দেয়। তাদের ঘোষণায় ২৬ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে প্রাথমিকভাবে সংগনিরোধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালানো এবং শুধুমাত্র ঢাকা ও কারখানার আশেপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কালখানা চালানোর যে বিজ্ঞাপন তারা জারি করেছিলেন তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ’বিজিএমইএ’ কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যেখানে বলা হলো কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিক ছাড়া দুরদুরান্তে অবস্থিত শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মোবাইলসহ নানা মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে নির্দেশ করেছেন এবং কাজে যোগ দিতে ব্যর্থ হলে মুজুরি কর্তন ও ছাঁটাইয়ের ভয় দেখিয়েছেন। ফলে গত ৪ঠা এপ্রিলের ন্যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে যোগদানের উৎকন্ঠা থেকে যে পরিবেশ সৃষ্ট হয়েছে তাতে সংগনিরোধবিধি ভংঙ্গ হওয়ার উপক্রম এবং করোনা সংক্রমন বিস্তার হয়ে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার শর্তে কারখানা পরিচালনার কথা বলা হলেও, বাস্তবে খুলে দেয়া কারখানা গুলোতে পরিবেশ ভিন্ন। কারখানার প্রবেশমুখে ব্যক্তির তাপমাত্রা মাপা দেখানো হলেও কর্মস্থলে ব্যক্তি দুরত্ব বজায় রেখে ,মাস্ক , ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার সহ স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন অবস্থা নেই। বিবৃতিতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের গৃহীত স্বাস্থ্যবিধি ও ’আইএলও’ প্রদত্ত গাইড লাইন অনুযায়ী সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শকের স্বচ্ছ তদারকি ও পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে কারখানা পরিচালনার আ্হবান জানানো হয়। অন্যথায় যে কারখানা বা প্রতিষ্ঠান এই বিধি মেনে চলবেনা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণেরও আ্হবান জানানো হয়। বিবৃতিতে,চলমান সরকারি ছুটিতে কোন কারখানা লে-অফ, শ্রমিক ছাঁটাই না করার সরকারের যে ঘোষণা, তা নজরদারি করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়। বিবৃতিতে, শ্রমিকদের মজুরি,বেতন দ্রুত পরিশোধ করে উদ্ভুত শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক ও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে