স্বাস্থ্যখাতে অনিয়মরোধেই হাসপাতালগুলোতে অভিযান : তথ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার, জুলাই ২১, ২০২০,৯:১১ পূর্বাহ্ণ
0
36

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম-দুর্নীতিরোধেই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চলছে, জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

            গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ এর সাথে মতবিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মতবিনিময়কালে বক্তব্য রাখেন।

            মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে সব ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সরকারের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক শাহাবুদ্দিন সাহেব বিএনপির একজন নেতা, তিনি গত নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে সংসদ নির্বাচনও করেছিলেন।’

            এখানে কে কোন দলের, সরকার তা দেখছে না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রতারক সাহেদ আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে না থেকেও আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু পার পায়নি। অনিয়মের সাথে যুক্ত যেই হোক, দলমত নির্বিশেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’  

            বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর মধ্যে যে কোনো বিষয়ে লাইভ সম্প্রচারের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয় না, অন্যান্য ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। আমাদের দেশেও সেটি হওয়া বাঞ্ছনীয়।

            সবক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনার চেয়ে নিজস্ব বিবেক-বিবেচনা প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘যে কোনো বিষয় প্রদর্শন বা সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে জনমনে সেটির প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজন। শিশু-কিশোরদের মনে নেতিবাচক প্রভাব বা সমাজে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কিছু প্রচার সমীচীন নয়। অভিযানের সময় লাইভ সম্প্রচার অনেক সময় অপরাধীদের পক্ষে সহায়ক হতে পারে, এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।’

            করোনাকালে প্রকৃতি ও পরিবেশ নিজস্ব গতিতে বিকশিত হচ্ছে -এমন বিষয় উত্থাপনের প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীতেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর আগের মতো কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে না, গাড়ি-কলকারখানা আগের মতো চলছে না, মানুষের ছুটোছুটি আগের তুলনা কমেছে। সে কারণেই প্রকৃতি নিজস্বতায় বিকশিত হয়েছে। আমি মনে করি শুধু বাংলাদেশ নয়, এই ইতিবাচক পরিবর্তন থেকে সমগ্র বিশ্ববাসীর শেখার রয়েছে এবং এটিকে কিভাবে ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রয়োজন।’

            এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরে পরিবেশ গবেষক ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং পৃথিবীর হাতেগোনা দু’একটি দেশের মধ্যে প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। এই ট্রাস্ট ফান্ড এখনও চলমান এবং এর মাধ্যমে নেওয়া উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং বিশ্বের উষ্ণায়ন হ্রাসে ক্লাইমেট চেঞ্জ সংলাপ-সমঝোতায় বাংলাদেশের অব্যাহত নেতৃত্বের কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ২০১৫ সালে পরিবেশ বিষয়ক পৃথিবীর সর্বোচ্চ ‘চ্যাম্পিয়ন অভ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে, জানান তথ্যমন্ত্রী।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে