[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে আগামীকাল ২৬শে মার্চ ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির এই সফর নিয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, গত বছর কভিড মহামারি শুরুর পর নরেন্দ্র মোদির এটিই প্রথম বিদেশ সফর। ভারতের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব প্রতিফলিত হবে এ সফরের মধ্য দিয়ে। দুই দিনের এ সফরে তিনি ঢাকার বাইরে সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জেও যাবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বেশ কিছু সমঝোতা হবে। তবে এই সফরে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন সব কিছুর ঊর্ধ্বে থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে শ্রিংলা বলেন, সম্ভাব্য চুক্তি ও সমঝোতাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু সফরের মূল বিষয় হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতীয়রাও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি দেশ স্বাধীন করতে প্রতিবেশী দুই দেশের একসঙ্গে হয়ে রক্তদান ও আত্মত্যাগ বিরল।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এ সফরে তিনি আগামীকাল ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির বৈঠক হবে। মোদি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে ১৪ দল, সংসদে বিরোধী দল, মুক্তিযোদ্ধা, ‘কমিউনিটি লিডার’ ও ‘ইয়ুথ আইকন’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মিলে তিনি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে যাবেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জের ওরাকান্দিতে মোদি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।