সোনারগাঁওয়ের মেধাবী বয়নশিল্পীরা জামদানিকে বাঁচিয়ে রেখেছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

মঙ্গলবার, মার্চ ৩, ২০২০,৯:১১ পূর্বাহ্ণ
0
45

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জামদানি বয়নশিল্পের কথা বলতে গেলে সবার আগে উল্লেখ করতে হবে বিশ্বনন্দিত হাতে বোনা তাঁতে তৈরি ঢাকার মসলিনের কথা। সূক্ষ্ম, শুভ্র, মসৃণবস্ত্র মসলিন ছিল মূলত পাঁচ ধরনের। গোটা জমিনে তাঁতে বিশেষ কৌশলে বা পদ্ধতিতে বুননের মাধ্যমে তৈরি হতো ফুল তোলা মসলিন যার পোশাকি নাম জামদানি। তাই জামদানিকে বলা হয় মসলিনের পঞ্চম কন্যা। বিভিন্ন কারণে মসলিন ধ্বংস হয়ে গেলেও জামদানিকে (ফিগার্ড মসলিন) বাঁচিয়ে রেখেছে সোনারগাঁওয়ের  সৃজনশীল, মেধাবী, সুরুচিশীল মনমানসিকতা সম্পন্ন ধীমান বয়নশিল্পীগণ।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশিষ্ট লোক ও কারুশিল্প অনুরাগী, গবেষক ও লেখক মালেকা খান রচিত ‘জামদানি : বাংলাদেশের বিশ্বনন্দিত ঐতিহ্য’ শীর্ষক সচিত্র গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, লোক ও কারুশিল্প অনুরাগী মিসেস মালেকা খান প্রায় ৬০ বছর ধরে জামদানি নিয়ে কাজ ও গবেষণা করে যাচ্ছেন। জামদানি বিষয়ে তাঁর সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও গবেষণার আলোকে তিনি গ্রন্থটি রচনা করেছেন। গ্রন্থটিতে জামদানি শিল্পের আদি ইতিহাস, ঐতিহ্য, বুনন পদ্ধতি, বর্তমান অবস্থা প্রভৃতির সন্নিবেশ ঘটেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সবসময় জামদানি শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, মালেকা খানের বইটি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দৈনিক ইত্তেফাক ও অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও প্রফেসর ড. রওনক জাহান।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে