[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
এজি লাভলু, স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা জেলার ঐতিহ্যবাহী শ্রেষ্ঠতম নারী শিক্ষা উন্নয়নের কারখানা “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলেতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়” কতৃপক্ষ স্বেচ্ছাশ্রমে নারী শিক্ষার্থীদের মানসন্মত শিক্ষা প্রসারে ছড়াচ্ছে ব্যতিক্রমী শিক্ষার আলো।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শিক্ষানুরাগী আমিনুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নারী শিক্ষার্থীদের মানসন্মত শিক্ষা ও উন্নত শিক্ষা অর্জনে তিনটি টিনসেডের ঘর নির্মাণ করে ২০১৫খ্রিঃ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলেতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিতভাবে পাঠদান শুরু করেন।
জমি দাতা আকবর আলী ৪৬শতক জমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলেতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নামে বিনাস্বার্থে রেজিস্টারি করে দেন এবং প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত দীপক কুমার মহন্ত, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারী ১৪জন প্রতিষ্ঠানে বেতন না পেয়েও স্বেচ্ছাশ্রমে শিক্ষার্থী ১৮০জনকে নিয়মিতভাবে পাঠদান করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছেন। সরকারি ও বেসরকারি সুযোগ সুবিধাবিহীন প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন।
অভিভাবকরা বলেন, রামদেব বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শিক্ষানুরাগী আমিনুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খেটেখাওয়া মানুষের মেয়েদের নিজ এলাকার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌছাতে পারবেন ভেবে তিনি নিজ উদ্দোগে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ বিদ্যালয়ে গ্রামের নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে শিক্ষকরা সর্বদা স্বেচ্ছাশ্রমে নিয়মিতভাবে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
সহকারি শিক্ষকরা বলেন, বিনা বেতনে চাকরি করে নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমেস উদ্দিন বাবু বলেন, শিক্ষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে অবহেলিত উপজেলার নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার বিকাশে নিয়মিতভাবে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলেতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বেতন-ভাতা না পেয়েও সঠিকভাবে পাঠদান করে নারীদের সু-শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় জাতীয়করণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের মহান অস্তিত্ব ধরে রাখতে অত্র এলাকার অনেকের সহযোগিতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নারীদের শিক্ষা উন্নয়নে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলেতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ২০১৫খ্রিঃ প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত শিক্ষক ও কর্মচারী বেতন না পেয়েও সঠিকভাবে পাঠদান করে আসছেন। শিক্ষক-কর্মচারী বেতন না পেয়ে অতিকষ্টে জীবন অতিবাহিত করছেন। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানের জন্য বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্ট এ আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত দীপক কুমার মহন্ত বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলেতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় একটি ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে আমরা নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছি। বিদ্যালয়টি বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্ট এর মাধ্যমে জাতীয়করণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।