[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার, ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩৪ সেন্টিমিটার এবং সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ১১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের ৮০ শতাংশ বাড়ি-ঘরে এবং ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রায় সকল বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এছাড়া, বিশ্বম্ভরপুর এবং তাহিরপুর উপজেলার নিচু এলাকার বাড়িঘরেও পানি উঠেছে। সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সিলেটের যোগাযোগ এই মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ছাতক উপজেলায় ৪০টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৬টি এবং জেলা সদরে ২০টিসহ মোট ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ হাজার মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী মানুষকে শুকনো খাবার: চিড়া, মুড়ি, গুড়, মোমবাতি, ম্যাচ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন ইত্যাদি বিতরণ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া, সিলেট জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয় এবং নেত্রকোনা জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার প্যাকেট/বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের মাধ্যমে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।