[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে ধরা সন্দেহে পৃথক দুটি ঘটনায় গণপিটুনিতে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (২৫) নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছেন রেশমা (৩৫) নামে এক নারী। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে মিজমিজি আল আমিন নগর ও পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটে । খবর পেয়ে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
অপর দিকে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় ওই নারীকে উদ্ধার করতে গেলে জনতা-পুলিশ আধাঘণ্টাব্যাপী ঘটনা ঘটে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। এ ঘটনায় এলাকায় বিরাজ করছে ব্যাপক উত্তেজনা । সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ পরিদর্শন করেন ঘটনাস্থল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৮টার দিকে মিজমিজি আল আমিন নগর এলাকার রাজমিস্ত্রি সোহেলের মেয়ে সাদিয়া (৭) স্কুলে যাওয়ার পথে নিহত যুবক তার হাতে ধরে তার সাথে হেঁটে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সন্দেহবশত জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বললে উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয় জনতা । একপর্যায়ে তাকে গণপিটুনি দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে তাকে। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩ শ শয্যা হাসপাতালে পাঠালে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাইনাদী নতুন মহল্লার শাপলা চত্বর এলাকায় ইটালী প্রবাসী বিল্লালের বাড়ির চারতলায় খাদিজার ফ্লাটে রেশমা নামে ওই নারী প্রবেশ করে তার নাতি নাদিমকে (৩) পুতুল দেয়। এতে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে খবর দেয় বাড়িওয়ালাকে। এ ঘটনায় ওই বাড়ির সামনে জড়ো লোকজন জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখে পিএম এর মোড়ে আল বালাগ স্কুলে । খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করতে গেলে উত্তেজিত জনতার সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে আধাঘণ্টাব্যাপী । পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৩ শ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানায়, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে এবং আহত নারীকে পাঠানো হয়েছে খানপুর হাসপাতালে । নিহতের নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।