[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সৌরভ সোহরাব,সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধি : চলমান করোনা ভাইরাস দুর্যোগে কৃষি প্রধান চলনবিল অঞ্চলে বোরো ধান কাটতে কোন শ্রমিক সংকট হবেনা। স্থানীয় শ্রমিক ছাড়াও প্রতিবছরের চাহিদা অনুযায়ী এবছরেও নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বোরো ধান কাটতে পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, বগুড়া, গাইবান্ধা সহ ১৬টি জেলা থেকে প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক আসবেন।
এরই মধ্যে এই অঞ্চলে আগাম জাতের বোরো ধান কাটতে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসে ধান কাটা শুরু করেছেন। ধান কাটা পুরো মৌসুম শুরু হলে সঠিক সময়ের মধ্যেই শ্রমিকরা এসে প্রতিবছরের মত ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিবেন। এমনটাই তথ্য জানালেন সিংড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
এ বিষয়ে কৃষি অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন,সিংড়া উপজেলায় প্রতিবছর বোরো ধান কাটার এই মৌসুমে স্থানীয় শ্রমিক ছাড়াও চাহিদা অনুযায়ী ১৬টি জেলা থেকে প্রায় ১৪ হাজার শ্রমিক আসেন। এবছর করোনার কারনে যাতে শ্রমিক সংকট না হয় সেজন্য গত ১ সপ্তাহ আগে থেকেইে প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। শ্রমিকদের চলাচলের সমস্যা হবেনা। শ্রমিকরা প্রশাসনের সহযোগিতাই ধান কেটে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন। কাজেই সিংড়ার চলনবিল এলাকায় ধান কাটা নিয়ে কোন শ্রমিক সংকট হবেনা আশা করি।
এদিকে জমিতে আধা পাকা ধান রেখে যতই দিন যাচ্ছে ততই শঙ্কা বাড়ছে কৃষকদের। একদিকে করোনার আতংকে শ্রমিক সংকটের শঙ্কা অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কায় নিরঘুমে কাটছে তাদের রাত। ইতমধ্যে এই অঞ্চলে আগাম জাতের কিছু মিনিকেট ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর এই আগাম জাতের ধান কাটতে বিভিন্ন জেলা থেকে কিছু শ্রমিক দলও এসেছেন। এসব কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার জানান প্রতিবার সে সকল শ্রমিকরা আসেন তারাই এসে ধান কাটছেন।
উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের পুর্বভেংরী গ্রামের কৃষক আলহাজ হাবিব দুলাল বলেন,গত তিন দিন আগে থেকে ধান কাটা শুরু করেছি। আমার বাড়িতে জয়পুর হাট জেলা থেকে ৬৫ জন শ্রমিক এসেছেন। তারা প্রতিবছরই আসেন। প্রায় ২০০ বিঘা মিনিকেট ধানের মধ্যে তিন দিনে ৩০ বিঘা কাটা হয়েছে। বাকি ধান কাটতে ১০ থেকে ১২ দি সময় লাগবে।
চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরশ তৌফিক বলেন,আমার গ্রামে প্রায় ২০০ শত শ্রমিক আসছেন। এরা বেশির ভাগ লালপুর,বাগাতি পাড়া ও রাজশাহীর চারঘাট এলাকা থেকে এসেছেন। করোনা ভাইরান রোধে গ্রামবাসীর সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বিশেষ ব্যবস্থায় জমির কাছে পুকুর পাড়ে শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছেন। এতে গ্রামের লোকজনের সাথে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৫শত হেক্টর জমি। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো ধানের চাষ হয়েছে ৩৬ হাজর ৬শত ৫০ হেক্টর।