[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সারের সংকট আছে বলে মিথ্যা তথ্য রটিয়ে একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। সার নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
গতকাল নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রস্তাবিত রাইস সাইলো নির্মাণের মাটি ভরাট কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছরের থেকে এবার সারের বরাদ্দ এক টনও কমেনি, কিন্তু চাষের জমির পরিমান কমেছে। এ অবস্থায় সার সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। সার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে যাদের এক বস্তা সার প্রয়োজন তারা দুই বস্তা সার সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, যাদের সার প্রয়োজন নেই, তারাও ডিলারের কাছে গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে একটা ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করছে। নওগাঁয় সারের সংকট যাতে না হয় সেজন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কোথাও সারের কোনো সংকট নেই। সার, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সাথে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা, ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নওগাঁয় প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক রাইস সাইলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নওগাঁয় ১৫ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক সাইলো। ইতোমধ্যে এখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। সাইলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে নিরাপদ মজুতের পাশাপাশি এলাকার
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাইলোতে দুই বছর পর্যন্ত চাল মজুত রাখলেও বিবর্ণ ও গুণগত মান নষ্ট হবে না বলেও জানান তিনি।
এসময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. সহিদুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবিরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।