[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সাভারের কাউন্দিয়ায় কথিত এক কবিরাজের দাওয়াই খেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার এক দিন পর দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অপর দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল ওহাব কবিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে । দুজনের মৃত্যু হয় রবিবার (২১ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ।এ ঘটনা ঘটে এর আগের দিন শনিবার সাভারে কাউন্দিয়ার আলী নগর এলাকায় । নিহত জাকির হোসেন (৫০) ও রাশেদুল ইসলাম মোল্লা (৩৫) রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা। তবে বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি তাদের।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রাণ কৃষ্ণ জানান, গত শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে সাভারের কাউন্দিয়া আলী নগর এলাকার ওহাব কবিরাজের বাড়িতে চিকিৎসার জন্য জাকির ও রাশেদুল নামে দুই ব্যক্তি আসেন। এ সময় তারাসহ আরো দুজন কবিরাজের দেওয়া দাওয়াই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির ও রাশেদুলের এ ঘটনার এক দিন পর রবিবার রাতে মৃত্যু হয় । তবে চিকিৎসাধীন অপর দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। নিহত জাকির হোসেন (৫০) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার মৃত আবদুর রহামনের ছেলে। আর রাশেদুল ইসলাম মোল্লা কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার রাথা গ্রামের মো. শাসসুদ্দিনের ছেলে (৩৫)। তারা রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। রিয়াদ ও রফিকুল ইসলাম চিকিৎধীন অপর দুজন । নিহত ও আহতরা সবাই হকার ছিলেন। কেউ শরবত, কেউ ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন।
আটক আবদুল ওহাব কবিরাজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার আগলাপাড়া গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে। বর্তমানে সাভার কাউন্দিয়ার আলী নগর গ্রামের বাসিন্ধা। সে নিজেও ঝালমুড়ি বিক্রি করে। পাশাপাশি কবিরাজি করে বেড়ায়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ জানান, এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত আবুল ওহাব কবিরাজকে (৫০)। এ ছাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর আটক ব্যক্তিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।