সাংবাদিক রোজিনাকে নির্যাতন ও গ্রেপ্তার : ডিআরইউর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বুধবার, মে ১৯, ২০২১,১০:৫০ পূর্বাহ্ণ
0
19

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে তার দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং স্টাফরা মিলে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন, হয়রানি, হেনস্তা ও শ্বাস রোধ করে হত্যা প্রচেষ্টার পর ‘তথ্য চুরি’র অভিযোগে করা মামলার।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান এঘটনাকে উদ্বেগজনক, মুক্ত ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর চরম আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রোজিনা ইসলামকে পৈচাশিক নির্যাতন, নিপীড়ন করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বাকরুদ্ধ এবং সাংবাদিকদের কলম থামানো যাবে না বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম আরো সোচ্চার থাকবে।

তারা বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর হামলা ও নির্যাতনের যে চিত্র এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে নিশ্চিত করে বলা যায় রোজিনা ইসলামের দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকতার ফলে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যক্তিগতভাবে অবৈধ সুবিধা হারাচ্ছেন। একারণেই এমন ন্যাক্কারজনক ও সুপরিকল্পিত নির্যাতন ও হেনস্তা করা হয়েছে।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মনে করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লাগামহীন দুর্নীতি, নিয়োগে অনিয়ম, কভিডকালীন কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনিয়মসহ সার্বিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে রোজিনা ইসলাম যে সংবাদগুলো প্রকাশ করেছেন তার ফলশ্রুতিতেই তিনি এই ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার। এই ঘটনায় কোনোভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সচিব দায় এড়াতে পারেন না।

ডিআরইউ মনে করে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের ঘটনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘শূন্য সহিষ্ণুতা বা জিরো টলারেন্স’ নীতির সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক এবং এঘটনা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি করার ক্ষেত্রে আরো বেপরোয়া ও ভয়হীন করে তুলবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার-হয়রানি শুধু ব্যক্তি রোজিনার ওপরই হামলা নয় বরং এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর চরম আঘাত। রোজিনা ইসলামের ওপর এই নির্যাতন, মামলা, গ্রেপ্তার মানবাধিকারেরও চরম লঙ্ঘন।

অতিদ্রুত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, বিতর্কিত ‘অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’সহ স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য এমনসব কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি না দিলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে