সর্বসাধারণের জন্য লালদিঘী পার্ক উন্মুক্ত করলেন চসিক প্রসাশক

শনিবার, নভেম্বর ৭, ২০২০,১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
0
54

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, লালদিঘী ও চট্টগ্রাম অভিন্ন। লালদিঘী একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র। এই পার্কে একবারও আসেননি এরকম কোন চট্টগ্রামবাসী নেই। ১৯৩৯ সালে জমিদার রায় বাহাদুর রাজ কুমার এই দিঘী ও পার্কটির গোড়াপত্তন করেন। এই দিঘীতে সাঁতার শিখেছেন অনেকে। প্রাতঃভ্রমণ করেছেন এবং এখনও করেন শত শত নাগরিক। লোহা-ইট-সিমেন্টের স্থাপনা ও ইমারতে ঠাঁসা এই নগরীতে লালদিঘী পার্ক সবুজে বনে টলমলে জলে এক টুকরো ভূ-স্বর্গ। তাই নগরবাসীর কাছে এই ভূ-স্বর্গটি প্রাণ সঞ্চারিনী। তিনি গতকাল সকালে লালদীঘি পার্কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মরহুম আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রায় বাহাদুর রাজ কুমারের পরিবার থেকে প্রতীকি মূল্যে লালদিঘী পার্কটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মালিকানায় কিনেন। দিঘী ও পার্কটিকে নানান উপাদানে নান্দনিক করে তোলেন। প্রাসঙ্গিক কারণে প্রাতঃ ও বৈকালিক ভ্রমণ কাল এতদিন এটা সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত ছিলোনা। নগরবাসীর চিত্তের আনন্দ ও হেটে বসে ক্ষণিকের স্বস্থি ও পরিতৃপ্তির জন্য পার্কটি আজ থেকে সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই লালদিঘী পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও শ্রী বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে সৌন্দবর্দ্ধন ও নান্দনিক রূপদানে বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে। তিনি আরো বলেন, লালদিঘীতে অল্প খরছে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেকার পুলসহ দীঘির চারপাশে চমকপ্রদ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দেয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি এ.কে.এম রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদুল আলম চৌধুরী, বন ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী প্রমুখ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে