[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
এজি লাভলু, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজিবপুর ও নাগেশ্বরীসহ ৯টি উপজেলার স্থানীয় এবং আগত মৌসুমি মধু ব্যবসায়ী শিক্ষিত বেকার যুবকরা সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ করে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সাবলম্বী হয়ে উঠেছে। মধু ব্যবসা করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। কৃষি বিভাগ বলছে এতে শুধু মধু চাষি নয় বাড়বে সরিষার ফলনও।
কুড়িগ্রাম জেলার দৃষ্টির সীমানা জুড়ে শুধুই হলুদে ভরা সরিষার মাঠ আর এরই মাঝে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছি। উপজেলার অধিকাংশ ক্ষেতে দেখা মিলবে এমন দৃশের মৌমাছির সাড়ি সাড়ি কাঠের বক্স। এতে আহরিত মধু এনে জমা করছে মৌমাছিরা। তবে এ কাজে ব্যস্ত স্থানীয় ও আগত মধু চাষিরা।
মধু ব্যবসায়ী ফজলুল করিম, রুবেল ও নুরুজ্জামান জানান, নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মধু উৎপাদন করি। প্রতিটি বাক্স থেকে প্রতি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। আর এ মধু স্থানীয়ভাবে বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এতে ছয় মাসে একজন মধু ব্যবসায়ীর আয় আসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বলেন, ফসলে এ পদ্ধতির ক্ষেতে মধুর পাশাপাশি সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কুড়িগ্রামে ও অন্যান্য উপজেলায় ২৮৮২ বক্সে ২০৫০ কেজি মধু উৎপাদন হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।