[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন তুলে নেওয়ার পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার কী প্রমাণ করতে চায় করোনার থেকে তারা শক্তিশালী? এই ছুটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। এটা সরকারের সবচাইতে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সরকার মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে হাঁটছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।
রিজভী বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহ মহামারীতে বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। বৈশ্বিক বাস্তবতায় বাংলাদেশও যেন করোনার ছোবলে নীল হয়ে উঠেছে। কভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশে দেশে নেওয়া হয়েছে লকডাউন, কারফিউ-জরুরি অবস্থাসহ নানা কঠোর পদক্ষেপ। আর বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশেই ছুটি দিয়ে কথিত লকডাউন বলে প্রচার করে আসছে। ছুটি শব্দটি কেন দেওয়া হলো তা নিয়ে সব শ্রেণির মানুষের মাঝে বিস্ময় রয়েছে। ছুটি শব্দটি প্রয়োগ করে শৈথল্য অপসারণ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস, দোকান পাট, হাটবাজার, ব্যাংক-বীমা, সরকারি অফিস-আদালত-এতকিছু খোলা রেখে কঠোরভাবে ছুটি পালনের নামে জনগণের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে এখন সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর পাশাপাশি বাস, রেল ও লঞ্চের মতো গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, ৩১ মে থেকে ছুটি প্রত্যাহার করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে মৃত্যু গহ্বরের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে নিজেদের বেশ শক্তিশালী মনে করা যায়। সরকারের মন্ত্রী-নেতারা হঠকারী ও অবিবেচক সিদ্ধান্ত দিতেই পারঙ্গম। ছুটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। এটা সরকারের সবচাইতে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। পরবর্তীতে হয়তো আফসোস করারও সুযোগ থাকবে না।
রিজভী আরো বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি সরকার শুরু থেকেই মরণঘাতি ভাইরাস পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। নিশিরাতের সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যে মন্তব্যেও এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রমাণ পাওয়া গেছে সরকারের অপরিকল্পিত, দায়সারা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, বাংলাদেশে ঝড়ের বেগে সংক্রমিত হচ্ছে করোনাভাইরাস। ভাইরাসের রাজনীতিকরণে ব্যস্ত সরকার। তারা বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থতা ঢাকতেই মানবজীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ একাই নয়, মরণঘাতি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্বের প্রতিটি দেশই বিপর্যস্ত। তবে যেসব দেশ মরণঘাতি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবকে সাধারণ সংকট ভেবে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছিল তাদেরকে নজিরবিহীন পরিস্থিতি মোকবেলা করতে হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা দেখেও কোনো কিছু শিখেছি বলে মনে হচ্ছে না।