[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দশ বছরে পাঁচ লাখ সাত হাজার চল্লিশ জন দরিদ্র-অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে সরকার। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। একই সময়ে সংস্থাটি ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৪২২ টাকা দরিদ্র-অসহায় মানুষকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে তাদেরকে আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০।
সংস্থাটি
বিগত ১০ বছরে ৬৪ টি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৩ জনকে, সুপ্রীম
কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২০ হাজার ৯২ জনকে, জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টারের
১৬৪৩০নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে ৮৩ হাজার ৯১৮ জনকে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত
সহায়তা সেলের মাধ্যমে ১৮ হাজার ২০৭ জনকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে। একই সময়ে সংস্থাটি
১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯২ টি লিগ্যাল এইড মামলা নিষ্পত্তি করেছে।
আইন,
বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এর নির্দেশনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টার (১৬৪৩০) বর্তমানে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে এবং জনগণকে
আইনি পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। আইনি সহায়তা গ্রহণ সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল এ কল সেন্টার উদ্বোধনের পর থেকে অফিস চলাকালীন এ কল
সেন্টার থেকে আইনি পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছিল। সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির
কারণে ২৪ ঘন্টা চালু রাখা হয়েছে।
এছাড়া
“ডিজিটাল লিগ্যাল এইড” সেবা প্রদানের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘বিডি লিগ্যাল এইড’
নামে একটি অ্যাপ চালু করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এতে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে অ্যাপটির
সাহায্যে ঘরে বসেই বিনা খরচে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন অসহায় ও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী জনগণ।
লিগ্যাল এইডে আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন জানানোর পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবেদন গ্রহণের বার্তা জানিয়ে দেয় সংস্থাটি। আবেদনকারীর আবেদন অনুমোদন পেলে সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইলে ফোনে কল কিংবা মেসেজ দিয়ে এ তথ্যও জানিয়ে দেওয়া হয়।