[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, গাছ থেকে জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনসহ বিভিন্ন ধরনের সুফল পাওয়ার পরও প্রতি বছর পৃথিবীতে ১৩ মিলিয়ন হেক্টর বন ধ্বংস হচ্ছে। সময় এসেছে নিজেদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই প্রকৃতির সবুজ বন-বনানী রক্ষায় একযোগে কাজ করার।
বন মন্ত্রী গতকাল ঢাকার আগারগাঁওস্থ বন অধিদপ্তরে ‘বন ও জীববৈচিত্র্য মূল্যবান অতি, হারালে অপূরণীয় ক্ষতি’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বন দিবস-২০২০ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং সচিব জিয়াউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বন মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সফল সামাজিক বনায়নের আবর্তকাল উত্তীর্ণ গাছ আহরণ করে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫শত ৬৪ জন দরিদ্র উপকারভোগীর মধ্যে ৩শত ৫৬ কোটি ৮২ লাখ ৩৪ হাজার ৫২২ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ২ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন জেগে ওঠা উপকূলীয় চরে বন সৃজন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দেশের মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বন মন্ত্রী বলেন, বন সেক্টরের প্রধান লক্ষ্য বনভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে ‘ফরেস্ট ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে ৪৮টি এলাকাকে ‘রক্ষিত এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে বন রক্ষায় বন অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সামাজিক বনায়নে সাত জন উপকারভোগীর মাঝে বিশ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।